কাশি কমাতে ঘরোয়া পদ্ধতি

 কাশি কমাতে ৭ ঘরোয়া পদ্ধতি 

সর্দি, জ্বর এবং কাশি আমাদের কমন একটা অসুখ। মাঝে মাঝেই হয় এই তিনটি অসুখ। জ্বর এবং সর্দি সাধারণ বিষয় হলেও কাশি খুব বিরক্তকর। খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় না কাশি থেকে। এবং পরবর্তীতে কাশি থেকে বড়ো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কাশি খুব বিরক্তকর এবং সহজেই মুক্তি পাইনা । তবে কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং ধূমপানের কারণেও হয় কাশি ।

কাশি হলেই আমরা অ্যান্টি- বায়োটিক খেয়ে থাকি । কিন্তু এটা একেবারেই ভূল। ওষুধ খাওয়ার আগে আমরা কিছু পদ্দতি অবলম্বন করতে পারি । এবং সহজেই মুক্তি পেতে পারি । আসুন জেনে নেই কিছু ঘরোয়া উপায়।




কাশি কমাতে ঘরোয়া পদ্ধতি
Cough


             ∆ কাশি হবার কারণ-


কাশি হতে পারে অনেক কারণেই। অনেক সময়ে নিউমোনিয়া, ফুসফুসে সংক্রমণ , যক্ষ্মা ইত্যাদির কারণে কাশি হয়। দীর্ঘদিন কাশি থাকার ফলে বুকে ব্যাথা , শ্বাসকষ্ট সহ আরো অনেকে সমস্যায় পড়তে হয়।

অতিরিক্ত কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে । তবে ধূমপান করার কারণে যদি কাশি হয়ে থাকে তাহলে ধূমপানকে আজকেই না বলুন।

• কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

১. মধু

২: বাসক পাতা

৩: তুলসী পাতা 

৪: আদা

৫: গরম দুধে হলুদের মিশ্রণ

৬: মেন্থল ক্যান্ডি

৭: গার্গল করা



১. মধু

কাশি দূর করতে মধু - 

কাশি কমাতে মধুর কোনো জুড়ি নেই। কখনো কখনো মধু ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে কাশি কমাতে। 

কফ দূর করার পাশাপাশি গলাকে পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে মধু। কাশি এবং ঠান্ডার আদর্শ ওষুধ হলেও এক বছরের নিচে কোনো শিশুদের মধু খাওয়ানো একেবারেই ঠিক নয় ।

• কাশি দূর করতে করতে মধু ব্যাবহারের নিয়ন নিচে দেওয়া হলো : -

• এক গ্লাস গরম পানিতে ৩ চা চামচ মধু , ৫ চা চামচ লেবুর রস এবং সামান্য আদার রসের মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন ২ বার খেতে হবে। লেবু, আদা ও মধু কফ দূর করে এবং গলা ব্যাথা নিয়ন্ত্রন করে খুব দ্রুত।

• গরম দুধের সাথে ২ টেবিল চামচ ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন। রাতে ঘুমানোর আগে কিছুদিন নিয়মিত খেলে কাশি দূর হবে।

• দিনে ২-৩ বার ২ টেবিল চামচ মধু খেলেও কাশি দূর হবে।

• কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ গোল মরিচের গুড়া এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ১-২ বার খেলে কাশি দূর হবে।


২. বাসক পাতা

বাসক পাতা কাশি দূর করতে অনেক বেশি উপকারী -


বাসক পাতা ভালোভাবে পানিতে সিদ্ধ করে , সেই পানি ছেকে গরম অবস্থায় খেলে কাশি দূর হবে। দৈনিক খেলে কাশি উপশম হবে। তবে বাসক পাতা প্রতিদিন সন্ধ্যায় খেলে অনেক ভালো। তেতো স্বাদ দূর করতে / কমাতে চিনির সাহায্য নিতে পারেন।

৩. তুলসী পাতা

কাশি দূর করতে তুলসী পাতা-


তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। কাশি থেকে মুক্তি পেতে দৈনিক ৩-৪ বার এই মিশ্রণটি খেতে হবে।


৪. আদা

কাশি দূর করতে আদা - 


লবণের সাথে আদার টুকরো মিশিয়ে খেতে হবে। কাশি দূর করতে আদা অনেক উপকারী। এছাড়াও চায়ের সাথে আদা মিশিয়েও খেতে পারেন।


৫. গরম দুধে হলুদের মিশ্রণ

কাশি দূর করতে দুধ এবং হলুদের মিশ্রণ -


অল্প দুধের সাথে হলুদ মেশাতে হবে। বেশ কার্যকর হলুদ এবং দুধের মিশ্রণ। দুধে রয়েছে অনেক প্রোটিন। সহজেই আরাম এনে দেয় দুধ এবং সর্দি কাশি দূর হলুদ অনেক সাহায্য করে। তাই হলুদ এবং দুধ অনেক উপকারী শরীরের জন্য।


 ৬. মেন্থল ক্যান্ডি

কাশি দূর করতে মেন্থল ক্যান্ডি - 


মেন্থল দিয়ে তৈরি চকলেট বা ক্যান্ডি কাশি দূর ও অনেক উপকারী। মেন্থল ক্যান্ডি কাশি কমাতে এবং কফ নরম করতে সাহায্য করে ।


৭. গার্গল করা

কাশি কমাতে গার্গল খুব উপকারী-


গলা ব্যাথা ও কাশি কমাতে গার্গল করা প্রয়োজন । আধা চা চামচ লবণ ও এক গ্লাস গরম পানি মিশিয়ে ৮-১০ মিনিট গার্গল করুন। দিনে বেশ কয়েকবার করার চেষ্টা করুন । এটি খুব সহজেই কাশি দূর সাহায্য করবে।


সহজেই কাশি থেকে মুক্তি পেতে সব সময় চেষ্টা করুন গরম পানি খাওয়ার জন্য এবং গরম পানি দিয়ে গোসল করার জন্য। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো বেশ কার্যকর । তাই চেষ্টা করুন মেনে চলার । ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন সব সময়।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post